নোয়াখালী সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেমবাজার এলাকায় ছাত্রশিবির আয়োজিত কোরআন তালিমে ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি ফারুকের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলার তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, নোয়াখালী শহর শাখা।
আজ (১৯ অক্টোবর, রবিবার) নোয়াখালী শহর সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান ও শাখা সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মাহবুব এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “গতকাল (১৮ অক্টোবর) বাদ আছর নেয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেমবাজার মসজিদে ছাত্রশিবির কর্তৃক আয়োজিত কোরআন তালিম অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় স্থানীয় যুবদল নেতা ফারুক ও তার সহযোগিরা মসজিদের ভেতরে মব সৃষ্টি করে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায় এবং অঙ্গহানির হুমকি প্রদান করে। মসজিদের ভেতরে কোরআন তালিমের মতো ধর্মীয় শিক্ষামূলক আয়োজনে এমন হামলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও নিন্দনীয়।”

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির একটি আদর্শিক সংগঠন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ছাত্রসমাজের মাঝে নৈতিক, আদর্শিক ও মানবিক মূল্যবোধ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীবান্ধব ও গঠনমূলক কাজে ভীত হয়ে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার ছাত্রশিবিরের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। সম্প্রতি বিএনপি, ছাত্রদল ও তাদের সহযোগী সংগঠনসমূহও নব্য ফ্যাসিবাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। নারী হেনস্তা, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি এবং বিরোধী সংগঠনের কর্মসূচিতে হামলা এখন তাদের রুটিন কার্যক্রমে পরিণত হয়েছে।”

নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই—ধৈর্য, সহনশীলতা ও শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়বদ্ধতা ছাত্রশিবিরের দুর্বলতা নয়। ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও সক্ষম। অবিলম্বে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিহার না করলে আপনারও অতীত ফ্যাসিবাদের মতো ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।

আমরা এই ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।”
প্রেসবিজ্ঞপ্তি